চলন্ত বাস থেকে ফেলে হত্যা, সুপারভাইজার-সহকারী গ্রেফতার

বনার ঈশ্বরদীর লালন শাহ সেতুর টোল প্লাজার কাছে ভাড়া নিয়ে তর্কের জের ধরে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে যাত্রী মো. সুমন হোসেনকে (৩৪) হত্যা মামলায় বাসটির সুপারভাইজার ও সহকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ঈশ্বরদী শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুপার সনি পরিবহন বাসের সুপারভাইজার রোকনুজ্জামান (২৮) ও সহকারী নাসিম উদ্দিন (২২)। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে।

নিহত সুমনের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায়। তিনি ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের ঝাউতলা গ্রামে ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। তিনি পেশায় হোটেল শ্রমিক ছিলেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সুমন মেহেরপুর থেকে সনি পরিবহন বাসে ঈশ্বরদীতে আসছিলেন। বাসের মধ্যে ভাড়া নিয়ে কন্ডাক্টরের সঙ্গে সুমনের বাগবিতণ্ডা হয়। পথে সুমন বাস থেকে নেমে যেতে চাইলেও চালকের সহকারীরা তাকে নামতে দেয়নি এবং বাসের মধ্যেই তাকে মারধর করে বলে সুমন মোবাইলে তার বাড়িতে জানায়। পরে রাত ৯টায় বাসটি লালন শাহ সেতু পার হয়ে টোল প্লাজার কাছে এসে কন্ডাক্টর জোরপূর্বক চলন্ত বাস থেকে সুমনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে ওই বাসের নিচেই চাপা পড়েন তিনি। পরে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুমনের মৃত্যু হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, শনিবার দুপুরে নিহত সুমনের স্ত্রী রুমা খাতুন বাদী হয়ে সুপার সনি পরিবহন বাসের চালক ও দুই সহকারীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে বাসটির সুপারভাইজার ও সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন